একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। কিন্তু আমরা পাই মাত্র ৭০-৮০ গ্রাম। দেশের চাহিদার তুলনায় ফলের উৎপাদন কম হওয়ায় এবং বিদেশী ফলের উচ্চ মূল্যের কারণে দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ফল খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া দেশী ফলের মোট উৎপাদনের ৭০ ভাগই মে, জুন ও জুলাই- এই তিন মাসে উৎপাদিত […]
তথ্যভান্ডার
জলাশয়ের pH: বাস্তবতার আলোকে সমাধান
মাছ ও চিংড়ি চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে জলাশষের pH (পিএইচ)। এটি মূলত জলাশয়ের মাটি ও পানির অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব নির্দেশ করে। একটি পুকুরের উৎপাদন ক্ষমতা কতটুকু তা সেই জলাশয়ের pH এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায়। pH ৭ এর কম হলে মাছ ও চিংড়ির বৃদ্ধি কম হয় । একইভাবে pH ৯ এর বেশি হলে মাছ […]
মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন পরিচর্যা
শীতকালীন সময়ে পরিবেশগত নানাবিধ প্রতিকূলতার জন্য মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে শীতকালে মাছ ও চিংড়িতে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, এমনকি মাছ ও চিংড়িতে মড়ক দেখা দিতে পারে। মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন সময়ে সমস্যা ও কারণসমূহ মাছ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হওয়ায় এটি নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে […]
কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িং
বর্তমানে ধান ক্ষেতের সবচেয়ে আলোচিত ও মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা হচ্ছে “কারেন্ট পোকা” বা “বাদামি গাছ ফড়িং”। অনেক কৃষক এ পোকাটির বিষয়ে পরিচিত নন, তাই তাঁরা উদাসীনতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পরিচিতি বাদামি গাছ ফড়িং (Brown Plant Hopper or BPH) ধানের একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। যে সমস্ত ধানের জাতে বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই সে সব […]
আমের রোগসমূহ ও প্রতিকার
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফলসমুহের মধ্যে আম অন্যতম। স্বাদে, গন্ধে ও তৃপ্তি প্রদানে আম অতুলনীয়, তাই আমকে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়। আমাদের আমের ফলন বেশ কম, হেক্টর প্রতি মাত্র ৪ টন। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ১০ টন। ফলন কম হওয়ার কারণ অনেক, তবে রোগ বালাই সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। আমের উৎপাদন বাড়াতে হলে রোগ দমন অপরিহার্য। তাই আমাদের দেশে আমের প্রধান রোগসমুহ ও প্রতিকার সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সরিষার অল্টারনারিয়া ব্লাইট
অল্টারনারিয়া ব্লাইট (Alternaria Blight) সরিষার সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ। এটি ধূসর দাগ রোগ (Gray Spot) নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশে Endemic রোগ, অর্থাৎ সরিষার চাষ করলেই এই রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়।
পাতা, কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা, ফল ও বীজ এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এক মাস বয়স্ক চারা গাছের গোড়ার পাতায় বাদামি দাগ রূপে এ রোগের প্রথম আবির্ভাব ঘটে। বলয় আকৃতির দাগ (Concentric Ring Spot) এ রোগের লক্ষণের বৈশিষ্ট্য, পাতার সর্বত্র দাগ ছড়িয়ে থাকে। দাগগুলো গাঢ় বাদামি বর্ণ থেকে লাল রং ধারণ করে। আক্রান্ত পাতা হলদে হয়ে যায়। পরবর্তীতে শুকিয়ে ঝরে পড়ে। কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখাতে লম্বাটে কাল দাগ পড়ে।
এ রোগ থেকে সরিষা ফসল রক্ষার জন্য হাদাক ৪৫ ডব্লিউপি এক কেজি বীজের সাথে ৮ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন এবং প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হাদাক মিশিয়ে শেষ চাষের সময় মাটি শোধন করে নিতে হবে। এতে প্রাথমিক আক্রমণ কম হতে পারে। এছাড়া রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অথবা গাছের বয়স ৪০ দিন বয়স থেকে হামা ৫২.৫ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।
মৎস্যচাষে ধকলের প্রভাব ও সমাধান
ধকল বলতে এমন এক ধরণের পারিপার্শ্বিক বা পরিবেশগত অবস্থাকে বুঝায় যেখানে মাছ ও চিংড়ি তাদের জীবন ধারণের স্বাভাবিক কর্মকান্ড বা শারীরবৃত্তীয় কাজ (খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য হজম প্রক্রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস, শ্বসন ইত্যাদি) পরিচালনা করতে পারে না। ধকলের ফলে মাছ ও চিংড়ির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এটি মাছচাষের অন্যতম প্রধান একটি প্রতিবন্ধকতা।
মাছ ও চিংড়িতে ধকলের ফলে মাছ ও চিংড়ি দুর্বল হয়ে পড়ার পাশাপাশি খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়। ফলে মাছ ও চিংড়িতে সুষম পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। একদিকে শারীরিক দুর্বলতা ও অপরদিকে পুষ্টির অভাবে মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকহারে হ্রাস পায়। ফলে মাছ ও চিংড়ি সহজেই নানা ধরণের রোগ-ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হতে থাকে। এর ফলাফলস্বরূপ মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন খরচ যেমন বাড়তে থাকে, পাশাপাশি মোট উৎপাদন হ্রাস পায়।
নাবিত ভিটামিন এ এবং গ্লুকোজ এনহাইড্রাস সমৃদ্ধ একটি আদর্শ ইলেক্ট্রোলাইট যা মাছ, চিংড়ি, মুরগী ও গবাদিপশুর পরিবহন ও পরিবেশগত নানাবিধ ধকল কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
আজনা- প্রতি বছর ধরবে আম, কৃষক হবে লাভবান
আম গাছের সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যা গাছের সর্বোচ্চ ফলন এনে দিতে পারে। অনেক আম গাছে প্রতি বছর মুকুল আসে না। এক বছর পরপর মুকুল আসে। অর্থাৎ অনেক গাছে একবছর মুকুল আসে এবং পরবর্তী বছর মুকুল আসে না বা মুকুল অনেক কম আসে। প্রতি বছর আম না আসা চাষীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ইনতেফা কোম্পানী প্রথম বারের মত বাজারে এনেছে আজনা। যাতে রয়েছে প্যাক্লোবিউট্রাজল ২৫%।
পোনা মজুদ পদ্ধতি, পোনার প্রজাতি নির্বাচন ও মজুদ ঘনত্ব নির্ধারণ এবং পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা
মাছ চাষে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক বড় বড় দেশের তুলনায় বেশি। বর্তমানে মাছ চাষে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। মৎস্যচাষীগণ পুকুরে মাছ চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারেন, পুকুরে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, পুকুরে মাছ চাষের ফলে এলাকায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেন ও উৎপাদিত মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন। চাষী ভাইদের সুবিধার্থে আমরা মাছ চাষের প্রতিটা ধাপ ইনতেফা বার্তায় প্রকাশ করব। গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম সঠিক নিয়মে পুকুর প্রস্তুতি এবং পোনা মজুদকালীন ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্বে আমরা আলোচনা করব পোনা মজুদ প্রস্তুতি, পোনার প্রজাতি নির্বাচন ও মজুদ ঘনত্ব নির্ধারণ এবং পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
দ্রুত ফলন বৃদ্ধির জন্য স্বল্প মাত্রায় জাদা ব্যবহারের নিয়মাবলী
জাদা গাছের দ্রুত বৃদ্ধি, ফুল ও ফল ধারণ এবং ফলন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর একটি উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক। জাদা-এর প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম জিব্রেলিক এসিড সক্রিয় উপাদান আছে। জাদা প্রায় সকল ধরনের ফসলে প্রয়োগ করা যায় এবং অতি অল্প মাত্রায় ব্যবহারেই অত্যন্ত কার্যকরী। জাদা বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করে অর্থাৎ অংকুরোদগমে সাহায্য করে, ফুল ফুটাতে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফল ঝরা বন্ধ করে। পাশাপাশি গাছের পাতা ও কান্ডের বৃদ্ধি ঘটায় এবং ফলের আকার বৃদ্ধি করে ও আকৃতি সুন্দর করে। শুধু তাই নয়, জাদা ব্যবহারে দানা জাতীয় ফসলের কুশি সংখ্যা এবং দানার ওজন বৃদ্ধি পায়।