জাদা

  • জিব্রেলিক এসিড ২০%
Category:

পরিচিতি

জাদা গাছের দ্রুত বৃদ্ধি, ফুল ও ফল ধারণ এবং ফলন বৃদ্ধিতে অতি অল্প মাত্রায় ব্যবহারে অত্যন্ত কার্যকর একটি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক।

  • ফর্মুলেশন : পাউডার
  • মেয়াদকাল : ২ বছর
  • প্যাক সাইজ : ১ গ্রাম
  • রেজিঃ নং : আইএমপি-৪৪৬৮

উপাদান

জাদা-এর প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম জিব্রেলিক এসিড সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।

প্রয়োগক্ষেত্র

প্রায় সকল ধরনের ফসল।

কার্যকারিতা

জাদা গাছের পাতা ও কান্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।
জাদা বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করে, অর্থাৎ অংকুরোদ্গমে সাহায্য করে।
জাদা ফুল ফুটাতে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফল ঝরা বন্ধ করে।
জাদা ফলের আকার বৃদ্ধি করে এবং আকৃতি সুন্দর করে।
জাদা দানা জাতীয় ফসলের কুশি সংখ্যা এবং দানার ওজন বৃদ্ধি করে।

ব্যবহারবিধি

সাধারণভাবে প্রতি ৩০ লিটার পানিতে ১ গ্রাম জাদা প্রয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন ফসলের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে জাদা ব্যবহারের নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

ফসল ৩০ লিটার পানির জন্য প্রয়োগের সময়
ধান ১-২ গ্রাম (২বার) কাইচ থোড় ১০% গজালে ১ম বার ও ৩০-৪০% গজালে ২য় বার
ধান (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) ১.৫-২ গ্রাম জাগ দেয়ার আগে জাদা মিশ্রিত পানিতে ১২ ঘন্টা ধানের বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে
গম ১ গ্রাম (২ বার) কুশি গজানোর মাঝামাঝি সময়ে ১ম বার ও এর ১২ দিন পর ২য় বার
ভূট্টা ১ গ্রাম (১-২ বার) দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ বার, তবে প্রয়োজন হলে ১০ দিন পর ২য় বার
আলু ১ গ্রাম (১ বার) বীজ লাগানোর ৩৮-৪০ দিনের সময়
আম ০.৫-১ গ্রাম (১-২ বার) আম আসার পর ১ম বার ও আম ভাঙ্গার ১-১.৫ মাস আগে ২য় বার
লিচু ১ গ্রাম (১-২ বার) মটর দানার মত হলে ১ম বার ও প্রয়োজনে ১৫ দিন পর ২য় বার
আনারস ১-১.৫ গ্রাম (২ বার) ফুল আসার পর ১ম বার ও ১৫ দিন পর ২য় বার
পেয়ারা ০.৫-১ গ্রাম (১-২ বার) দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ম বার ও ফল পাড়ার ২০-২৫ দিন আগে ২য় বার স্প্রে করলে ফল দেরী করে পাকবে
কলা ১-১.৫ গ্রাম (২ বার) দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ম বার ও ফল পাড়ার ২০-২৫ দিন আগে স্প্রে করলে ফল দেরী করে পাকবে এবং ফল পাড়ার পর চুবিয়ে নিলে ফলের সংরক্ষণের সময় বাড়ে
বড়ই ১ গ্রাম (১-২ বার) দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে
বেগুন ১-১.৫ গ্রাম (১ বার) ফুল আসার পর
টমেটো ১-১.৫ গ্রাম (১ বার) ফুল আসার পর
শশা, তরমুজ ও কুমড়া জাতীয় ফসল ১-১.৫ গ্রাম (৩ বার) ১-২টি পাতা বের হওয়ার পর ১ম বার, ফুল আসার পর ২য় বার ও ফল তোলার আগে ৩য় বার
তুলা ১-৩ গ্রাম (৩-৫ বার) বল আসার ১-৩ দিনের মধ্যে ১ম বার, এরপর প্রয়োজনে ৩-৪ দিন পর পর আরও ২-৪ বার
ফুলকপি ও বাধাকপি ১ গ্রাম (১-২ বার) দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে
মরিচ ১ গ্রাম (২ বার) বীজ লাগানোর ৪০-৫০ দিন পর ১ম বার ও ৬০-৭০ দিন পর ২য় বার
শিম ১ গ্রাম (১-২ বার) ২-৩টি পাতা বের হলে
শিম (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) ১.৫ গ্রাম বীজের উপর স্প্রে করতে হবে
পুঁই শাক/লাল শাক ১.৫-৩ গ্রাম (১-২ বার) পাতা তোলার ৩ সপ্তাহ আগে ১ম বার ও প্রয়োজন হলে ৩-৫ দিন পর ২য় বার
ডাটা ৩ গ্রাম (১-২ বার) ৫-৬টি পাতা বের হলে ১ম বার ও প্রয়োজন হলে ৩-৫ দিন পর ২য় বার
পিঁয়াজ/রসুন ১ গ্রাম (২ বার) বীজ গজানোর ৩ সপ্তাহ পর ১ম বার ও ১৫ দিন পর ২য় বার
পেঁপে ১ গ্রাম (১ বার) ২-৩টি পাতা বের হলে (১০ সে.মি. হলে)
পেঁপে (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) ১ গ্রাম (১০ লিটার পানির জন্য) ১ ঘন্টা চুবিয়ে রাখতে হবে
সয়াবিন ৩ গ্রাম (১ বার) ৩-৪টি পাতা বের হলে

নির্দেশনা

জাদা পানির সাথে মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
জাদা কোন ফসলে কখন স্প্রে করতে হবে তা সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছ থেকে নিশ্চিত করে জেনে নিতে হবে।

top
error: Content is protected !!