মাছ ও চিংড়ির জীবনধারণ ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে জলাশয়ের দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO)। জলাশয়ের দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রার উপর জলাশয়ের উৎপাদন ক্ষমতা বহুলাংশে নির্ভরশীল। সাধারণত যে সকল জলাশয়ে ঘন ঘন দ্রবীভূত অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দেয়, সে সকল জলাশয়ে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম হয়। অনেক সময় জলাশয়ে তেমন কোন রোগের লক্ষণ না […]
ইনতেফা বার্তা
জলাশয়ের অ্যামোনিয়া: মৎস্যচাষের প্রধান সমস্যা
মাছ ও চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান সমস্যা হল জলাশয়ে মাটি ও পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি। জলাশয়ের ক্ষতিকর গ্যাসের মধ্যে অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট, নাইট্রেট, কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ক্লোরিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তন্মধ্যে জলাশয়ে সবচেয়ে সহজলভ্য ও ক্ষতিকর গ্যাস হল অ্যামোনিয়া। অ্যামোনিয়া তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত রংবিহীন একটি গ্যাস। এটি সাধারণত জলাশয়ের পরিবেশগত অবস্থা […]
মাছচাষে বহিঃপরজীবির আক্রমণ ও সমাধান
হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগলসহ প্রায় সকল গবাদিপশুর মতই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিচিত্র প্রজাতির পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি বর্তমানে মাছ চাষের অন্যতম প্রধান একটি প্রতিবন্ধকতা। সাধারণত মাছে দুই ধরনের পরজীবি দেখা দেয়- অন্তঃপরজীবি ও বহিঃপরজীবি। অন্তঃপরজীবি মাছের অভ্যন্তরে পাকস্থলী ও অন্ত্রে বসবাস করে, যেমন- মাছের বিভিন্ন ধরণের কৃমি। পক্ষান্তরে, বহিঃপরজীবি মাছের শরীরের পাখনা, ত্বক ও […]
মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন পরিচর্যা
গোল গোল ক্ষতরোগ বা EUS-এ আক্রান্ত মাছ[/caption]শীতকালীন সময়ে পরিবেশগত নানাবিধ প্রতিকূলতার জন্য মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে শীতকালে মাছ ও চিংড়িতে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, এমনকি মাছ ও চিংড়িতে মড়ক দেখা দিতে পারে। মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন সময়ে সমস্যা ও কারণসমূহ মাছ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হওয়ায় এটি নিজের […]
কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িং
বর্তমানে ধান ক্ষেতের সবচেয়ে আলোচিত ও মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা হচ্ছে “কারেন্ট পোকা” বা “বাদামি গাছ ফড়িং”। অনেক কৃষক এ পোকাটির বিষয়ে পরিচিত নন, তাই তাঁরা উদাসীনতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পরিচিতি বাদামি গাছ ফড়িং (Brown Plant Hopper or BPH) ধানের একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। যে সমস্ত ধানের জাতে বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই সে সব […]
আমের রোগসমূহ ও প্রতিকার
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফলসমুহের মধ্যে আম অন্যতম। স্বাদে, গন্ধে ও তৃপ্তি প্রদানে আম অতুলনীয়, তাই আমকে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়। আমাদের আমের ফলন বেশ কম, হেক্টর প্রতি মাত্র ৪ টন। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ১০ টন। ফলন কম হওয়ার কারণ অনেক, তবে রোগ বালাই সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। আমের উৎপাদন বাড়াতে হলে রোগ দমন অপরিহার্য। তাই আমাদের দেশে আমের প্রধান রোগসমুহ ও প্রতিকার সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শীতকালীন খাদ্যপুষ্টি
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবজি বাজারে পাওয়া এমন সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। খুব সহজলভ্য হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে এটি খুবই উচ্চ। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে রয়েছে ক্যালরি ৩১ গ্রাম, শর্করা ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম, ফ্যাট ০.৮ গ্রাম, ফাইবার ১.১ গ্রাম এবং ২৬৮ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভোনয়েড। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ইত্যাদি।
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওজন কমাতে এটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফুলকপি আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। এছাড়াও পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। ফুলকপিতে রয়েছে “গ্লকোসিনোলেটস” ও “আইসোথিয়োকায়ান্টস” নামক দুটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গ্লকোসিনোলেটস হজম ক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং আইসোথিয়োকায়ান্টস ফুসফুস, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফুলকপি থেকে প্রাপ্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফুলকপিতে আরও রয়েছে ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষ উপকারী “কোলাজেন” নামন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফুলকপি থেকে পাওয়া “কলিন” আমাদের স্মৃতি, মেজাজ ও পেশী নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কার্যকর করতে সহায়তা করে।
সরিষার অল্টারনারিয়া ব্লাইট
অল্টারনারিয়া ব্লাইট (Alternaria Blight) সরিষার সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ। এটি ধূসর দাগ রোগ (Gray Spot) নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশে Endemic রোগ, অর্থাৎ সরিষার চাষ করলেই এই রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়।
পাতা, কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা, ফল ও বীজ এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এক মাস বয়স্ক চারা গাছের গোড়ার পাতায় বাদামি দাগ রূপে এ রোগের প্রথম আবির্ভাব ঘটে। বলয় আকৃতির দাগ (Concentric Ring Spot) এ রোগের লক্ষণের বৈশিষ্ট্য, পাতার সর্বত্র দাগ ছড়িয়ে থাকে। দাগগুলো গাঢ় বাদামি বর্ণ থেকে লাল রং ধারণ করে। আক্রান্ত পাতা হলদে হয়ে যায়। পরবর্তীতে শুকিয়ে ঝরে পড়ে। কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখাতে লম্বাটে কাল দাগ পড়ে।
এ রোগ থেকে সরিষা ফসল রক্ষার জন্য হাদাক ৪৫ ডব্লিউপি এক কেজি বীজের সাথে ৮ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন এবং প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হাদাক মিশিয়ে শেষ চাষের সময় মাটি শোধন করে নিতে হবে। এতে প্রাথমিক আক্রমণ কম হতে পারে। এছাড়া রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অথবা গাছের বয়স ৪০ দিন বয়স থেকে হামা ৫২.৫ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।
মৎস্যচাষে ধকলের প্রভাব ও সমাধান
ধকল বলতে এমন এক ধরণের পারিপার্শ্বিক বা পরিবেশগত অবস্থাকে বুঝায় যেখানে মাছ ও চিংড়ি তাদের জীবন ধারণের স্বাভাবিক কর্মকান্ড বা শারীরবৃত্তীয় কাজ (খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য হজম প্রক্রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস, শ্বসন ইত্যাদি) পরিচালনা করতে পারে না। ধকলের ফলে মাছ ও চিংড়ির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এটি মাছচাষের অন্যতম প্রধান একটি প্রতিবন্ধকতা।
মাছ ও চিংড়িতে ধকলের ফলে মাছ ও চিংড়ি দুর্বল হয়ে পড়ার পাশাপাশি খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়। ফলে মাছ ও চিংড়িতে সুষম পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। একদিকে শারীরিক দুর্বলতা ও অপরদিকে পুষ্টির অভাবে মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকহারে হ্রাস পায়। ফলে মাছ ও চিংড়ি সহজেই নানা ধরণের রোগ-ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হতে থাকে। এর ফলাফলস্বরূপ মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন খরচ যেমন বাড়তে থাকে, পাশাপাশি মোট উৎপাদন হ্রাস পায়।
নাবিত ভিটামিন এ এবং গ্লুকোজ এনহাইড্রাস সমৃদ্ধ একটি আদর্শ ইলেক্ট্রোলাইট যা মাছ, চিংড়ি, মুরগী ও গবাদিপশুর পরিবহন ও পরিবেশগত নানাবিধ ধকল কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
আজনা- প্রতি বছর ধরবে আম, কৃষক হবে লাভবান
আম গাছের সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যা গাছের সর্বোচ্চ ফলন এনে দিতে পারে। অনেক আম গাছে প্রতি বছর মুকুল আসে না। এক বছর পরপর মুকুল আসে। অর্থাৎ অনেক গাছে একবছর মুকুল আসে এবং পরবর্তী বছর মুকুল আসে না বা মুকুল অনেক কম আসে। প্রতি বছর আম না আসা চাষীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ইনতেফা কোম্পানী প্রথম বারের মত বাজারে এনেছে আজনা। যাতে রয়েছে প্যাক্লোবিউট্রাজল ২৫%।