গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম পোনা মজুদ পদ্ধতি, পোনার প্রজাতি নির্বাচন ও মজুদ ঘনত্ব নির্ধারণ এবং পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্বে আমরা আলোচনা করব মাছ ও চিংড়ির রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনা নিয়ে। মাছ ও চিংড়ি চাষে জলাশয়ের প্রতিকূল পরিবেশের কারণে বা বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর আক্রমণের জন্য মাছ ও চিংড়িতে নানারকম রোগ-বালাই দেখা দেয়। রোগ-বালাই […]
ইনতেফা বার্তা
কার্বন ডাই-অক্সাইডঃ মৎস্যচাষে গুরুত্ব
কার্বন ডাই-অক্সাইড CO2 সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার একটি মৌলিক উপাদান। কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে না, এমন অবস্থায় জলাশয়ের প্রাথমিক উৎপাদন ব্যাহত হয়। মাছের বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO) যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড CO2 অপরিহার্য। CO2 গ্যাস পানিতে তাড়াতাড়ি দ্রবীভূত হতে পারে। পানিতে এ গ্যাসটি মুক্ত কার্বন […]
মৎস্যচাষে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রভাবঃ সমস্যা ও সমাধান
মাছ ও চিংড়ির জীবনধারণ ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে জলাশয়ের দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO)। জলাশয়ের দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রার উপর জলাশয়ের উৎপাদন ক্ষমতা বহুলাংশে নির্ভরশীল। সাধারণত যে সকল জলাশয়ে ঘন ঘন দ্রবীভূত অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দেয়, সে সকল জলাশয়ে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম হয়। অনেক সময় জলাশয়ে তেমন কোন রোগের লক্ষণ না […]
জলাশয়ের অ্যামোনিয়াঃ মৎস্যচাষের প্রধান সমস্যা
মাছ ও চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান সমস্যা হল জলাশয়ে মাটি ও পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি। জলাশয়ের ক্ষতিকর গ্যাসের মধ্যে অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট, নাইট্রেট, কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ক্লোরিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তন্মধ্যে জলাশয়ে সবচেয়ে সহজলভ্য ও ক্ষতিকর গ্যাস হল অ্যামোনিয়া। অ্যামোনিয়া তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত রংবিহীন একটি গ্যাস। এটি সাধারণত জলাশয়ের পরিবেশগত অবস্থা […]
মাছচাষে বহিঃপরজীবির আক্রমণ ও সমাধান
হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগলসহ প্রায় সকল গবাদিপশুর মতই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিচিত্র প্রজাতির পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি বর্তমানে মাছ চাষের অন্যতম প্রধান একটি প্রতিবন্ধকতা। সাধারণত মাছে দুই ধরনের পরজীবি দেখা দেয়- অন্তঃপরজীবি ও বহিঃপরজীবি। অন্তঃপরজীবি মাছের অভ্যন্তরে পাকস্থলী ও অন্ত্রে বসবাস করে, যেমন- মাছের বিভিন্ন ধরণের কৃমি। পক্ষান্তরে, বহিঃপরজীবি মাছের শরীরের পাখনা, ত্বক ও […]
কলা চাষে সফলতা পেতে করণীয়
একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। কিন্তু আমরা পাই মাত্র ৭০-৮০ গ্রাম। দেশের চাহিদার তুলনায় ফলের উৎপাদন কম হওয়ায় এবং বিদেশী ফলের উচ্চ মূল্যের কারণে দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ফল খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া দেশী ফলের মোট উৎপাদনের ৭০ ভাগই মে, জুন ও জুলাই- এই তিন মাসে উৎপাদিত […]
জলাশয়ের pH: বাস্তবতার আলোকে সমাধান
মাছ ও চিংড়ি চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে জলাশষের pH (পিএইচ)। এটি মূলত জলাশয়ের মাটি ও পানির অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব নির্দেশ করে। একটি পুকুরের উৎপাদন ক্ষমতা কতটুকু তা সেই জলাশয়ের pH এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায়। pH ৭ এর কম হলে মাছ ও চিংড়ির বৃদ্ধি কম হয় । একইভাবে pH ৯ এর বেশি হলে মাছ […]
মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন পরিচর্যা
শীতকালীন সময়ে পরিবেশগত নানাবিধ প্রতিকূলতার জন্য মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে শীতকালে মাছ ও চিংড়িতে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, এমনকি মাছ ও চিংড়িতে মড়ক দেখা দিতে পারে। মাছ ও চিংড়ির শীতকালীন সময়ে সমস্যা ও কারণসমূহ মাছ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হওয়ায় এটি নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে […]
কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছ ফড়িং
বর্তমানে ধান ক্ষেতের সবচেয়ে আলোচিত ও মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা হচ্ছে “কারেন্ট পোকা” বা “বাদামি গাছ ফড়িং”। অনেক কৃষক এ পোকাটির বিষয়ে পরিচিত নন, তাই তাঁরা উদাসীনতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পরিচিতি বাদামি গাছ ফড়িং (Brown Plant Hopper or BPH) ধানের একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। যে সমস্ত ধানের জাতে বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই সে সব […]
আমের রোগসমূহ ও প্রতিকার
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফলসমুহের মধ্যে আম অন্যতম। স্বাদে, গন্ধে ও তৃপ্তি প্রদানে আম অতুলনীয়, তাই আমকে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়। আমাদের আমের ফলন বেশ কম, হেক্টর প্রতি মাত্র ৪ টন। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ১০ টন। ফলন কম হওয়ার কারণ অনেক, তবে রোগ বালাই সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। আমের উৎপাদন বাড়াতে হলে রোগ দমন অপরিহার্য। তাই আমাদের দেশে আমের প্রধান রোগসমুহ ও প্রতিকার সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।