পরিচিতি
মাছ ও চিংড়িতে পরজীবির আক্রমণ মাছচাষের একটি অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা। সাধারণতঃ অন্তঃপরজীবি (ফিতাকৃমি, গোলকৃমি ইত্যাদি) ও বহিঃপরজীবির (উকুন, লারনিয়া ইত্যাদি), দুই ধরণের সংক্রমণই দেখা যায়। অন্তঃপরজীবির কারণে রক্তস্বল্পতা ও পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। অন্যদিকে বহিঃপরজীবির সংক্রমণের ফলে মাছ ও চিংড়ির শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ঐসব ক্ষতস্থানে সহজেই রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদির সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং, অন্তঃ ও বহিঃপরজীবির আক্রমণের ফলে মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার পাশাপাশি মোট উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
যামা আইভারমেক্টিন ৩% সমৃদ্ধ একটি পরিজীবিনাশক, যা মাছ ও চিংড়ির যাবতীয় অন্তঃ ও বহিঃপরজীবির প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ও নির্ভরযোগ্য সমাধান।
- ফর্মুলেশন : তরল
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ১০০ মিলি
- লাইসেন্স নং : ১৭২/১৩
উপাদান
প্রতি মিলি যামা-তে আছে সক্রিয় উপাদান আইভারমেক্টিন ৩%।
প্রয়োগক্ষেত্র
মাছ ও চিংড়ির যাবতীয় অন্তঃ ও বহিঃপরজীবি দমনে ব্যবহার করুন।
কার্যকারিতা
যামা আরগুলাস (উকুন), লারনিয়া (হুক কৃমি), স্যাপ্রোলেগনিয়া, ট্রাইকোডিনা, গাইরোড্যাকটাইলাস, ড্যাকটালোগাইরাস ইত্যাদি বহিঃপরজীবি দমন করে।
মাছ ও চিংড়ির অন্ত্রে বসবাসকারী বটরিওস্যাফালা (ফিতা কৃমি), রাউন্ড ওয়ার্ম (গোল কৃমি), একান্থস্যাফালা সহ সকল অন্তঃপরজীবি দূর করে।
জলাশয়ে মাছ ও চিংড়ির জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন জুপ্লাঙ্কটন দূর করে।
যামা মাছের শরীরের অতিরিক্ত পিচ্ছিল পদার্থ দূর করে, ফলে মাছ উজ্জ্বল ও চকচকে হয়।
ব্যবহারবিধি
প্রতি ৩৩ শতকে ৩-৫ ফুট পানির গভীরতায় ব্যবহার করুনঃ
প্রতিরোধেঃ ৩৩ মিলি যামা
প্রতিকারেঃ ৫০ মিলি যামা
অধিক কার্যকারিতার জন্য প্রথমবার ব্যবহারের ৭-১০ দিন পর পুনরায় ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনে মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নির্দেশনা
শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সূর্যালোক থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন।
শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
যামা ব্যবহারের সময় ধূমপান ও পানাহার থেকে বিরত থাকুন। ব্যবহারের পর হাত-পা, চোখ-মুখ ও জামা-কাপড় ভালভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।