জাদা গাছের দ্রুত বৃদ্ধি, ফুল ও ফল ধারণ এবং ফলন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর একটি উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক। জাদা-এর প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম জিব্রেলিক এসিড সক্রিয় উপাদান আছে। জাদা প্রায় সকল ধরনের ফসলে প্রয়োগ করা যায় এবং অতি অল্প মাত্রায় ব্যবহারেই অত্যন্ত কার্যকরী। জাদা বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করে অর্থাৎ অংকুরোদগমে সাহায্য করে, ফুল ফুটাতে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফল ঝরা বন্ধ করে। পাশাপাশি গাছের পাতা ও কান্ডের বৃদ্ধি ঘটায় এবং ফলের আকার বৃদ্ধি করে ও আকৃতি সুন্দর করে। শুধু তাই নয়, জাদা ব্যবহারে দানা জাতীয় ফসলের কুশি সংখ্যা এবং দানার ওজন বৃদ্ধি পায়।
নিম্নে বর্ণিত ব্যবহার বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন ফসলে জাদা ব্যবহার করলে আশাতীত ফলন পাওয়া যায়ঃ
| ফসল | ৩০ লিটার পানির জন্য | প্রয়োগের সময় | 
|---|---|---|
| ধান | ১-২ গ্রাম (২বার) | কাইচ থোড় ১০% গজালে ১ম বার ও ৩০-৪০% গজালে ২য় বার | 
| ধান (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) | ১.৫-২ গ্রাম | জাগ দেয়ার আগে জাদা মিশ্রিত পানিতে ১২ ঘন্টা ধানের বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে | 
| গম | ১ গ্রাম (২ বার) | কুশি গজানোর মাঝামাঝি সময়ে ১ম বার ও এর ১২ দিন পর ২য় বার | 
| ভূট্টা | ১ গ্রাম (১-২ বার) | দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ বার, তবে প্রয়োজন হলে ১০ দিন পর ২য় বার | 
| আলু | ১ গ্রাম (১ বার) | বীজ লাগানোর ৩৮-৪০ দিনের সময় | 
| আম | ০.৫-১ গ্রাম (১-২ বার) | আম আসার পর ১ম বার ও আম ভাঙ্গার ১-১.৫ মাস আগে ২য় বার | 
| লিচু | ১ গ্রাম (১-২ বার) | মটর দানার মত হলে ১ম বার ও প্রয়োজনে ১৫ দিন পর ২য় বার | 
| আনারস | ১-১.৫ গ্রাম (২ বার) | ফুল আসার পর ১ম বার ও ১৫ দিন পর ২য় বার | 
| পেয়ারা | ০.৫-১ গ্রাম (১-২ বার) | দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ম বার ও ফল পাড়ার ২০-২৫ দিন আগে ২য় বার স্প্রে করলে ফল দেরী করে পাকবে | 
| কলা | ১-১.৫ গ্রাম (২ বার) | দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে ১ম বার ও ফল পাড়ার ২০-২৫ দিন আগে স্প্রে করলে ফল দেরী করে পাকবে এবং ফল পাড়ার পর চুবিয়ে নিলে ফলের সংরক্ষণের সময় বাড়ে | 
| বড়ই | ১ গ্রাম (১-২ বার) | দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে | 
| বেগুন | ১-১.৫ গ্রাম (১ বার) | ফুল আসার পর | 
| টমেটো | ১-১.৫ গ্রাম (১ বার) | ফুল আসার পর | 
| শশা, তরমুজ ও কুমড়া জাতীয় ফসল | ১-১.৫ গ্রাম (৩ বার) | ১-২টি পাতা বের হওয়ার পর ১ম বার, ফুল আসার পর ২য় বার ও ফল তোলার আগে ৩য় বার | 
| তুলা | ১-৩ গ্রাম (৩-৫ বার) | বল আসার ১-৩ দিনের মধ্যে ১ম বার, এরপর প্রয়োজনে ৩-৪ দিন পর পর আরও ২-৪ বার | 
| ফুলকপি ও বাধাকপি | ১ গ্রাম (১-২ বার) | দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায়ে | 
| মরিচ | ১ গ্রাম (২ বার) | বীজ লাগানোর ৪০-৫০ দিন পর ১ম বার ও ৬০-৭০ দিন পর ২য় বার | 
| শিম | ১ গ্রাম (১-২ বার) | ২-৩টি পাতা বের হলে | 
| শিম (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) | ১.৫ গ্রাম | বীজের উপর স্প্রে করতে হবে | 
| পুঁই শাক/লাল শাক | ১.৫-৩ গ্রাম (১-২ বার) | পাতা তোলার ৩ সপ্তাহ আগে ১ম বার ও প্রয়োজন হলে ৩-৫ দিন পর ২য় বার | 
| ডাটা | ৩ গ্রাম (১-২ বার) | ৫-৬টি পাতা বের হলে ১ম বার ও প্রয়োজন হলে ৩-৫ দিন পর ২য় বার | 
| পিঁয়াজ/রসুন | ১ গ্রাম (২ বার) | বীজ গজানোর ৩ সপ্তাহ পর ১ম বার ও ১৫ দিন পর ২য় বার | 
| পেঁপে | ১ গ্রাম (১ বার) | ২-৩টি পাতা বের হলে (১০ সে.মি. হলে) | 
| পেঁপে (বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করার জন্য) | ১ গ্রাম (১০ লিটার পানির জন্য) | ১ ঘন্টা চুবিয়ে রাখতে হবে | 
| সয়াবিন | ৩ গ্রাম (১ বার) | ৩-৪টি পাতা বের হলে |