শীতকালীন খাদ্যপুষ্টি

শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবজি বাজারে পাওয়া এমন সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। খুব সহজলভ্য হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে এটি খুবই উচ্চ। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে রয়েছে ক্যালরি ৩১ গ্রাম, শর্করা ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম, ফ্যাট ০.৮ গ্রাম, ফাইবার ১.১ গ্রাম এবং ২৬৮ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভোনয়েড। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ইত্যাদি।

ফুলকপির পুষ্টিগুণাগুণ

ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওজন কমাতে এটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ফুলকপি আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। এছাড়াও পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
ফুলকপিতে রয়েছে “গ্লকোসিনোলেটস” ও “আইসোথিয়োকায়ান্টস” নামক দুটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গ্লকোসিনোলেটস হজম ক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং আইসোথিয়োকায়ান্টস ফুসফুস, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ফুলকপি থেকে প্রাপ্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ফুলকপিতে আরও রয়েছে ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষ উপকারী “কোলাজেন” নামন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ফুলকপি থেকে পাওয়া “কলিন” আমাদের স্মৃতি, মেজাজ ও পেশী নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কার্যকর করতে সহায়তা করে।
ভ্রূণ ও মায়ের জন্যেও এটি বেশ উপকারী।
ফুলকপির “ক্যারোটিনয়েড” ও “ফ্ল্যাভোনয়েড” নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণ ছাড়াও এটি রান্নায় স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে।

ফুলকপি বেশি উপকারী হলেও এটি অতিরিক্ত গ্রহণে হতে পারে নানা সমস্যা। আমাদের সুস্থতার জন্য দৈনিক ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন, তবে তা আসতে হবে ফল, শাক ও সবজি – এ তিনটি থেকেই। সুতরাং আমাদের ফল, শাক ও সবজি সমপরিমাণে প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে।