জামি

প্রোবায়োটিক ও ইউকা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জিওলাইট

  • বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংমিশ্রণ
  • ইউকা সিডিজেরা নির্যাস
  • প্রাকৃতিকভাবে আহরিত বিভিন্ন ধাতুর খনিজ অক্সাইড

পরিচিতি

জামি উপকারী ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন খনিজ ধাতু ও ইউকা সিডিজেরা গাছের নির্যাস সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক জিওলাইট, যা পুকুর ও ঘেরের পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ করে। জামি জলাশয়ের মাটি ও পানির ক্ষতিকর জৈব বর্জ্য এবং বিষাক্ত গ্যাসসমূহ দূর করে মাছ ও চিংড়ি চাষের উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করে। এছাড়াও এটি পুকুরে প্লাঙ্কটন (প্রাকৃতিক খাদ্য) এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

  • ফর্মুলেশন : গ্রানুলার ও পাউডার
  • মেয়াদকাল : ২ বছর
  • প্যাক সাইজ : ৫ কেজি
  • লাইসেন্স নং : ১৭২/১৩

উপাদান

প্রতি কেজি জামি-তে আছে-

SiO2 40-50%
Al2O3 10-12%
Na2O 3-4%
CaO 5-5.5%
MgO 2-2.5%
Fe2O3 2.4-3.4%
K2O 0.4-0.5%
Mn 0.025-0.03%
Bacillus subtilis 1X109 CFU
Bacillus licheniformis 1X109 CFU
Yucca schidigera 5%

প্রয়োগক্ষেত্র

পুকুর প্রস্তুতিতে, মাছ ও চিংড়ির জলাশয়ের ক্ষতিকর ও বিষাক্ত গ্যাস দূর করতে, তলদেশের পঁচা জৈব পদার্থ ও দুর্গন্ধ দূর করতে এবং সর্বোপরি জলাশয়ের পরিবেশ মাছ ও চিংড়ি চাষের উপযুক্ত রাখতে ব্যবহার করুন।

কার্যকারিতা

জলাশয়ের ক্ষতিকর বিষাক্ত গ্যাস, যেমন- অ্যামোনিয়া (NH3), হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S), নাইট্রেট (NO3), নাইট্রাইট (NO2) ইত্যাদি দূর করে এবং মাটি ও পানির পঁচা দূর্গন্ধ দূর করে।
জামি প্রয়োগে জলাশয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ এবং মাটি ও পানির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে মাছ ও চিংড়ি সুস্থ থাকে এবং রোগ সংক্রমণ হ্রাস পায়।
জলাশয়ের পানির অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব (pH) নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ঘোলাটে ভাব দূর হয়ে, ফলে মৎস্য চাষের উপযোগী পরিবেশ বজায় থাকে।
জামি ব্যবহারে জলাশয়ে প্লাঙ্কটন (প্রাকৃতিক খাদ্যের) পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে মাছ ও চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধির হার এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
জামি জলাশয়ের মাটি ও পানির খনিজ ঘাটতি দূর করে মৎস্য চাষের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করে।
চিংড়ির খোলস পরিবর্তন ত্বরান্বিত হয়।
জলাশয়ে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ব্যবহারবিধি

প্রতি ৩ ফুট পানির গভীরতায় প্রতি ৩৩ শতকে ব্যবহার করুনঃ
পুকুর ও ঘের প্রস্তুতিতে ২.৫-৩ কেজি জামি
চাষকালীন সময়ে ২ কেজি জামি

মাছ চাষকালীন জলাশয়ের গুনগত মান রক্ষায় নিয়মিত মাসে ১ বার জামি প্রয়োগ করুন এবং অতিরিক্ত দূষণ হলে প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর, অথবা মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী জামি প্রয়োগ করুন।
জামি জলাশয়ে প্রয়োগের পূর্বে পরিমাণ মত পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে (পাউডারের ক্ষেত্রে) অথবা সরাসরি (গ্রানুলারের ক্ষেত্রে) সম্পূর্ণ পুকুরে/ঘেরে ছিটিয়ে দিন।
প্রয়োজনে মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নির্দেশনা

সকালে বা বিকেলে জামি প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সূর্যালোক থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জামি ব্যবহারের পূর্বের ২ দিন এবং পরবর্তী কিছুদিন জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা উচিৎ নয়।

top
error: Content is protected !!