তাযিজ

ধকল কমাতে ও দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য

  • অ্যাাসকরবিক এসিড
  • এল-অ্যাাসকরবিক এসিড
  • এল-গুলোনোল্যাকটোন অক্সিডেজ

পরিচিতি

তাযিজ-এ রয়েছে অ্যাাসকরবিক এসিড ও এল-অ্যাাসকরবিক এসিড সমৃদ্ধ ৯৯% ভিটামিন সি, যা মাছ ও চিংড়ির সুস্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। তাযিজ মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগাক্রান্ত মাছ ও চিংড়িকে দ্রুত সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিকূল পরিবেশে মাছ ও চিংড়ির ধকল কাটিয়ে উঠতে এবং শারীরিক কাঠামো সুগঠিত করতে তাযিজ-এর ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী।

  • ফর্মুলেশন : পাউডার
  • মেয়াদকাল : ৩ বছর
  • প্যাক সাইজ : ১০০ গ্রাম ও ১ কেজি
  • লাইসেন্স নং : ১৭২/১৩

উপাদান

প্রতি গ্রাম তাযিজ-এ আছে-

অ্যাাসকরবিক এসিড ৫০০ মিলি গ্রাম
এল-অ্যাাসকরবিক এসিড ১৫০ মিলি গ্রাম
এল-গুলোনোল্যাকটোন অক্সিডেজ ২১ মিলি গ্রাম
অন্যান্য সহজাত উপাদান

প্রয়োগক্ষেত্র

জলাশয়ে মাছ ও চিংড়ির ধকল কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য ব্যবহার করুন।

কার্যকারিতা

মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ সংক্রমণের হার হ্রাস করে।
তাযিজ একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মাছ ও চিংড়িকে ক্ষত ও অন্যান্য রোগ থেকে দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে।
যেকোন প্রতিকূল পরিবেশে মাছ ও চিংড়িকে ধকল কাটিয়ে উঠতে ও সুস্থ রাখতে তাযিজ অত্যন্ত কার্যকরী।
তাযিজ মাছ ও চিংড়ির অস্থিকাঠামো ও খোলস সুগঠিত করে, উজ্বলতা বাড়ায় এবং চিংড়ির খোলস পরিবর্তন ত্বরান্বিত করে।
মাছ ও চিংড়ির প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
নিয়মিত তাযিজ প্রয়োগের ফলে রেণু পোনা ও পিএল-এর মৃত্যুহার হ্রাস পায় এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
তাযিজ অতিরিক্ত গরমে মাছ ও চিংড়িকে স্বস্তি দেয়।

ব্যবহারবিধি

প্রয়োগক্ষেত্র প্রয়োগমাত্রা মিশ্রিত করবেন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আশংকাজনক পরিস্থিতিতে
মাছ ২-৩ গ্রাম প্রতি কেজি খাবারে ৩-৫ দিন ৭ দিন
চিংড়ি ৫-৭ গ্রাম প্রতি কেজি খাবারে ৩-৫ দিন ৭ দিন
হ্যাচারি ০.৫-১ গ্রাম প্রতি টন পানিতে ৩-৫ দিন ৭ দিন
পোলট্রি ১-১.৫ গ্রাম প্রতি ৫ কেজি খাবারে বা ৫-১০ লিটার পানিতে ৩-৫ দিন ৭ দিন
ডেইরী ১-২ গ্রাম প্রতি ১০ কেজি খাবারে ৩-৫ দিন ৭ দিন

সরাসরি প্রয়োগ না করে খাবারের সাথে তাযিজ ভালভাবে মিশ্রিত করে প্রয়োগ করুন।
প্রয়োজনে মৎস্য বিশেষজ্ঞ বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নির্দেশনা

সকালে বা বিকেলে জলাশয়ে খাবার দেয়ার সময় তাযিজ প্রয়োগ করলে তা অধিক কার্যকর হয়।
মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ফাতাহ বা মিরাস প্রয়োগের ১ দিন পর তাযিজ প্রয়োগ করুন এবং ২ দিন পর হারীয প্রয়োগ করুন।
শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সূর্যালোক থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন।

top
error: Content is protected !!